২০ টি বিস্ময়কর মনস্তাত্ত্বিক সত্য, যা নিজেকে চেনাবে নতুন করে!


আমরা মানুষেরা সবচাইতে বেশি পছন্দ করি সম্ভবত নিজের সম্পর্কে জানতেই। অবশ্য হবে নাই বা কেন। আমাদের নিজের মনের অলিগলির মাঝে যে কত শত সহস্র বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে সেগুলো আবিষ্কার করতে পারি না আমরা নিজেই। কত শত কাজ করি প্রতিদিন আমরা, কিন্তু আমাদের কোন কাজের কোন মানে কী, সেটা কি সবসময় বুঝতে পারি? চলুন, আজ জেনে নিই এমন কিছু সাইকোলজিক্যাল ফ্যাক্ট, যেগুলো মানুষ চিনতে বা নিজেকে বুঝতে দারুণ সাহায্য করবে আমাদের। নিজের ব্যাপারে নতুন কিছু জানতে বুঝতে পারাটা সব সময়েই আনন্দের!
) কথায় বলে, ছেলেবেলার বন্ধুই আসল বন্ধু? আসলেই হয়তো তাই। কারণ  ১৬ থেকে ২৮ বছর বয়সের মাঝে যেসব বন্ধুত্ব হয়, সেগুলোই মূলত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে!

) অধিকাংশ নারীর কাছে পুরুষের গম্ভীর বা ভারীর গলার স্বরটাই আকর্ষণীয় মনে হয়
) যে মানুষগুলো খুব ভালো পরামর্শ দেন, সাধারণত তাঁদের জীবনেই সমস্যা বেশি দেখা যায়। (সমস্যা বেশি বলে কি তাঁদের অভিজ্ঞতা বেশি?)
)  মানুষ যত বুদ্ধিমান, তিনি তত দ্রুত চিন্তা করেন এবং ততই ধীর তার হাতের লেখা হয়।
) রেস্তরাঁর ওয়েটারদের সাথে একজন মানুষ কেমন আচরণ করেন, সেটা থেকেই জানা যায় তিনি মানুষটি কেমন!
) অপরাধবোধের অনুভূতি যেসব মানুষের মাঝে প্রবল, তাঁরা অন্যের ভাবনা আবেগ খুব ভালো বুঝতে পারেন
) পুরুষের সেন্স হফ হিউমার মোটেও নারীদের চাইতে বেশি নয়। তবে হ্যাঁ, পুরুষেরা অধিক রসিকতা করেন, কারো ভালো লাগছে কি লাগছে না সেটা বিবেচনা না করেই।
) মুখচোরা মানুষেরা কথা খুব কম বলেন। কিন্তু যা বলেন তাতেই নিজেকে ভালো মতন চিনিয়ে দেন।
) নারীরা পুরুষের চাইতে প্রায় দ্বিগুণ ব্যথা অনুভব করেন, কিন্তু ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতাও তাঁদের বেশি
১০) উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির মিউজিক আপনার মনকে শান্ত, রিল্যাক্সড সুখী করে।
১১) গুড নাইট বা গুড মর্নিং ধরণের টেক্সট মেসেজগুলো মস্তিষ্কের সেই অংশকে উদ্দীপিত করে যা সুখের জন্য দায়ী।
১২) যে কাজগুলো ভয় লাগে, সেগুলো করে ফেলতে পারলেই একটা অন্যরকম সুখ পাবেন
১৩) যে মানুষগুলো সবাইকে ভালো রাখেন, দেখা যায় যে তাঁরাই সবচাইতে বেশি একাকীত্বে ভোগেন।
১৪)  আমরা যত সুখী, আমাদের ঘুমের চাহিদা তত কমে যায়। (দুঃখী মানুষেরা তো তবে বেশি ঘুমায়?)
১৫) পছন্দের কারো হাত ধরলে আমদের কষ্ট দুশ্চিন্তা দুটোই কম অনুভুত হয়।
১৬)  বুদ্ধিমান মানুষের বন্ধু সংখ্যা কম হয়। যত বুদ্ধিমান মানুষ, বন্ধু নির্বাচনে তিনি ততই সতর্ক।
১৭) নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডকে বিয়ে ডিভোর্সের হাত ৭০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এই ধরণের বিয়েগুলো অত্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে।
১৮) দীর্ঘ সময় একা থাকাটা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা খারাপ? দিনে ১৫ টি সিগারেট খাবার সমান
১৯) ভ্রমন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
২০) নিজের পছন্দের বিষয়ে কথা বলার সময় আমাদেরকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় দেখায়।

এবার বলুন তো, কোন কোন আচরণগুলো মিলে গেলো আপনার সাথে?

Previous
Next Post »